Friday 1 May 2020

অভিজিৎ রায় হত্যা, আনসার বাংলা ৭ সমাচার এবং একটি কুইজ

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখেছিলাম। রিপোর্ট করে সেই স্ট্যাটাসটি মুছে দেবার কারণে আমার এই ব্লগে লিখে রাখলাম। তথ্যসূত্রের সবগুলো লিংক আর্কাইভ করে রেখেছিলাম। কারণ, কিছু খবর ইতিমধ্যেই মুছে দেয়া হয়েছে।

অভিজিৎ রায় হত্যা, আনসার বাংলা ৭ সমাচার এবং একটি কুইজ

নামটা বেশ! আনসার বাংলা ৭, অনেকটা ০০৭ জেমসবন্ড টাইপের গন্ধ আছে। এই জিনিসের নাম শুনেছিলাম, ফেসবুকে প্রথম দেখি গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিহত হবার পর। এরা ফেসবুক এবং টুইটারে সেটার দায় স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছিলো। দুইদিন পরেই খেয়াল করেছিলাম পেজ এবং টুইটার একাউন্ট দুইটাই বন্ধ। গতকাল অভিজিৎ হত্যার পর এই সংগঠন দায় স্বীকার করেছে খবর পেয়ে আবার ওদের টুইটার একাউন্টে গেলাম।

প্রথম আলোর বর্ণনা অনুযায়ী ঘাতকরা অভিজিৎকে আঘাত করেছে বাংলাদেশ সময় ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখ রাত পৌনে নয়টার দিকে এবং অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে রাত সাড়ে দশটার দিকে

আর আনসার বাংলা এই খবর নিশ্চিত এবং পূন: নিশ্চিত হয়ে ধীরে-সুস্থে তাদের টুইটার একাউন্ট থেকে হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট করেছে রাত এগারোটা বারো মিনিটে!

তারপর তারা একের পর এক টুইটে এই হত্যার জন্য আনন্দ প্রকাশ করে গেছে। মজার বিষয় হচ্ছে, আনসার বাংলা ৭ নামের এই সংগঠনের টুইটার একাউন্ট থেকে অভিজিৎ রায়কে ফলো করা শুরু হয়েছে আরো প্রায় সাত ঘণ্টা পরে; বাংলাদেশ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ছয়টা ৩১ মিনিটের পোস্টের পর।

এরপর আরো কয়েকটি পোস্ট দিয়ে মিডিয়ায় নিজেদের দায়িত্ব স্বীকার প্রতিষ্ঠিত করার পর তারা তাদের টুইটার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আমার খুব নিরীহ প্রশ্ন হচ্ছে, আনসার বাংলা ৭ অভিজিৎকে হত্যার পর কেন তার নিষ্কৃয় টুইটার একাউন্ট ফলো করা শুরু করলো? তাদের হাতেই অভিজিৎ নিহত হয়েছে, তারা নিশ্চই এটা আশা করে না যে, অভিজিৎ এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আরও টুইট হবে। পাশাপাশি তারা একই সময়ে আসিফ মহিউদ্দিনের টুইটার একাউন্ট ও ফলো করতে শুরু করেছে। এরা এতদিন অভিজিৎ এবং আসিফ মহিউদ্দীনকে ফলো না করে হঠাৎ আজ থেকে ফলো করার কারণ কি? এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা একটাই, ডাইভারশন সৃষ্টি করা। যাতে সবাই এই আনসার বাংলার লাটিমের লেত্তি ধরে ঘুরতে থাকে, আর আসল খুনী পার পেয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে পুলিশ কেন নিষ্কৃয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো এবং খুনীরা কেন সেই সুযোগে নিরাপদে পালিয়ে গেলো, এই রহস্যের মিমাংসাও হয়নি; হবে কিনা, সেটাও জানি না।

আরেকটি বিষয় যথেষ্ট খটকা লাগানিয়া।
অভিজিৎ হত্যার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম বলেছিল, "দেশে একজন জঙ্গি নেত্রী আছেন। তিনি হলেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। জঙ্গিদের দমন করতে হবে। তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।" এবং অভিজিৎ হত্যার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষক নেতা ও ১৯৭৫ সালে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেনের উপর হামলার পরিকল্পনাকারী সাবেক জাসদ গণবাহিনী নেতা ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, "অভিজিৎ হত্যার দায় নিতে হবে খালেদাকে"। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আশরাফ নামে আরও একজন বলেছেন, "ব্লাডি খালেদা সবকিছুর জন্য দায়ী"। আবার হত্যার ঠিক পরের দিনই সেই মোহাম্মদ নাসিম বলেছে, "মান্না-খোকার ফোনালাপের বলি অভিজিৎ।"

বাংলাদেশে ব্লেইম গেইমের রাজনীতি নতুন না। কিন্তু হত্যার আগে-পরে এত সিনক্রোনাইজড দোষারোপ দেখে কিন্তু হত্যার অন্য কোন প্লট এর কথা মাথায় উঁকি দিচ্ছে। সহসাই যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুরাহা না হয়, তাহলে অন্যান্য সুরাহাবিহীন হাই প্রোফাইল খুনের মত এটিও স্টেট স্পন্সর্ড হাই প্রোফাইল কিলিং এর মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে।

হত্যার মোটিভ অনুসন্ধানে কে লাভবান, 'হু ইজ দ্য বেনিফিসিয়ারী' এই প্রশ্নটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। এই হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক ব্যবহার আওয়ামী লীগ যেভাবে করতে শুরু করেছে, তাতে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য মার্কিন তদন্ত দলের আসা খুবই প্রয়োজন।

এবার একটি কুইজঃ
বলুন তো অভিজিতকে নাস্তিক ব্লগার হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কোন সংগঠন সর্বপ্রথম তার বিচার দাবী করেছিলো এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সেই তালিকা জমা দিয়েছিলো?"

-২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ঢাকা।

দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে- এই স্ট্যাটাস লেখার পর ৫ বছর সময় চলে গেছে। অভিজিৎ এর খুনীরা আজও সনাক্ত হয়নি। সেই দুঃখ বুকে নিয়েই অভিজিৎ এর বাবা অজয় রায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

Tuesday 4 February 2020

Bangladesh: What does the all-EVM Dhaka election prove?


The Dhaka city corporation election could have been a test for at least two things: to test out the electronic voting machines are completely immune to rigging in contrast to the opposition’s claims, and, to prove that the recent survey of IRI that claimed that the AL-led government is very popular and people are satisfied with their performance, amid social media criticism on the validity of the survey.

After examining the news of all major news agencies, talking to the voters in person and participating in the process myself, here is what I found.

Dysfunctional and useless

Though EVM was seen as an answer to stop vote-rigging by the chief of the election, it fell flat during the action. The most ‘obvious’ few things like the mismatch of fingerprints, machines going out of order etc. were prevalent. While some less obvious things that become obvious during the poll has made it quite clear that the EVM is certainly not immune to rigging.

There are three loopholes apart from technical errors in this all-EVM voting system.

First of all, to cast a vote in EVM, the following things need to be done: proving identity by entering fingerprint, signing beside the details printed on a paper, getting a finger marked as the proof of voting. This entire process, from entering the fingerprint to marking the finger, takes at least three to four minutes. Now, since the voting device is activated during this crucial few minutes, anyone can enter into the secret room where the machines are kept and cast one’s vote. Plus, as the voter got his finger marked, he cannot even prove that he was barred from voting.

Secondly, whenever a voter presses the button and confirms the vote, the symbol takes the entire screen to ensure that the vote has been cast, but it remains on the screen till the next voter arrives. So apparently, the secrecy of one’s vote is no more preserved and a voter can be easily tracked. The voter standing in the queue saw the vote of the previous voter, and is quite sure that the voter who entered next saw his vote.

Finally, because the commission itself knows the prevalence of fingerprint mismatches, EVM allows a polling official in the room to intervene and use his/her fingerprint to allow the voter to vote after confirming the voter’s identity from his national ID. In an election atmosphere where centre and booths are heavily manned by ruling party activists, possible misuse of polling official’s fingerprint in favour of their favourites can be rife.

If we look into the details of the news reports, all these factors played a role in this most recent poll.

Allegations of voting by someone else after entering the fingerprint, forcing voters to vote for ruling party candidates from inside the secret room were backed by substantial evidence including photographs and videos.

On the other hand, Beating up, threatening voters, even cancelling votes when ruling party men identified voters voting against their favourite emerged from the voters.

While the BBC correspondent in Bangladesh has confirmed at least one case of abnormal voting, possibly with the help of polling official in a centre of Mohammadpur, where 33% votes were cast in a centre though there were no queues in front of the booths and the machines of that centre were out of order for several hours.

No confidence on voters

Though decision-makers of Awami League love to refer different surveys to back their claim that people are with them when it comes to voting, it appears that they do not take themselves seriously.

Acknowledging that the election atmosphere this time was pretty well before the election compared to the last national election, nervous breakdowns were observed right before the poll when government ministers including their head started coming down on foreign missions in Bangladesh with a view to limiting their manpower. This was possibly done to reduce their coverage area during the election as the more frequent movement of observers would have created a problem to rig the poll.

Right before the election, an open call was made for the AL-men to occupy and control polling centres by a top AL leader. Awami League praesidium member Abdur Rahman said, “You will go to the polling centres early in the morning, cast your vote and keep the centres under your control.” Any such call from a person with bare minimum confidence on voters is unlikely.

And finally, the way the AL-men took control of each centre, escorted the voters, intimidated a good number of voters, it is quite evident that the survey and opinion polls matter little to AL top brass, and their confidence over the voter is quite low.

What is next?

This election will bear the hallmark of the great fall of much-anticipated success of all-EVM poll. However, our experience with the election commission says they are not going to pay any heed to that. And with this dysfunctional election system and a machine with so many questions, Bangladesh will be having a tough time with its democracy.

Wednesday 5 September 2018

Holding trial inside the jail is a blatant violation of the constitution and human rights


Article 27 and 35 (3) of Part III regarding the FUNDAMENTAL RIGHTS of the Constitution of Bangladesh guarantee 'equality before the law' and 'protection in respect of trial and punishment'. Both Articles read, as follows:
27. All citizens are equal before law and are entitled to equal protection of law.
35. (3) Every person accused of a criminal offence shall have the right to a speedy and public trial by an independent and impartial Court or tribunal established by law.

If it is not an open trial, or, if ordinary citizens cannot WITNESS or OBSERVE the trial, in legal terminology it is called an "in Camera Trial". Only in the interest of protecting the privacy or identity of a victim- as happens in the case of a rape or gang-rape victim- in camera trials are held in developed countries when the both parties want such a trial of their choice.

But in the case of Begum Khaleda Zia, the trials that were all based on trumped-up charges have been held in specially constituted court in the ground of Aliya Madrassa where the right to entry of ordinary public was reserved.

Even after she has been granted bail in the case for which she was jailed, the ailing 74-year-old former Prime Minister is being held in an abandoned prison. She is nearly infirm and urgently requires specialised medical treatment for several severe health issues. Yet, the vindictive fascist government is pushing Mrs Zia towards death, by denying her proper medical care.

Begum Zia's health condition has deteriorated to such an extent that the jail authority repeatedly fails to produce her before the Courts for trials. Instead of ensuring the required treatment for detained Khaleda Zia the government of Bangladesh issued a gazette deciding to hold her trial inside the jail. There is no doubt that the ordinary public and even the press would face severe restrictions to witness the trial in the makeshift 'court' in a prison.
Politicians, human rights campaigners, journalists and independent activists from around the world, including Bangladesh's next door neighbour, often intervene in democratic and human rights affairs of Bangladesh. Regrettably, in the case of the 74-year-old former Prime Minister, Khaleda Zia, who is being denied bail having been lately granted in the main case, facing denial of medical treatment. She is the first ever victim to face trial inside jail in Bangladesh's history in an unconstitutional move by Sheikh Hasina's government for political vendetta.  Should the international community maintain strangely nonchalant, silence?


কারাগারের অভ্যন্তরে বিচার পরিচলনা সংবিধান ও মানবাধিকারের লংঘন

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত তৃতীয় ভাগে অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ৩৫(৩) এ দেশের জনগণকে 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা' এবং 'বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ' সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ দুইটিতে লেখা আছে:
২৭। সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
৩৫(৩)। ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন।

প্রকাশ্য বিচার না করা হলে; অর্থাৎ যে কোন সাধারণ নাগরিক যদি সেই বিচার পর্যবেক্ষণ না করতে পারে তাহলে সেটিকে আইনের ভাষায় বলা হয় 'ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল'। কেবলমাত্র ভিক্টিমের গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষার্থে যেমন: রেইপ এবং গ্যাং-রেইপের বিচারের ক্ষেত্রে 'ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল'কে উভয়পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে অনুমোদন করার নজির বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায়।

কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত সাজানো অভিযোগে মাধ্যমে দায়ের করা মামলাগুলো চালানো হয়েছে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে; যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।

এই ৭৪ বছর বয়ষ্ক বৃদ্ধা নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তার মূল মামলায় জামিন পাবার পরও একটি পরিত্যক্ত কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অসূস্থ্য ও চলাচল করতে অক্ষম। অবিলম্বে বিভিন্ন শারিরিক অসূস্থ্যজনিত কারণে তার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু তারপরও বেগম জিয়ার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা না দিয়ে তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সূস্থ্যতার এতই অবনতি ঘটেছে যে, কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিচারাধীন মামলায় আদালতে হাজির করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এমতাবস্থায় তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে সূস্থ্য করার কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং কারাগারের অভ্যন্তরেই আদালত বসিয়ে তার বিচার করা জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট জারি করা হয়েছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাধারণ নাগরিকরা তো বটেই; এমনকি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিস্থাপিত ঐ আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে প্রবল বাঁধার সমূক্ষীণ হবেন।

বিশ্ব এবং প্রতিবেশি দেশের রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের প্রায়শঃই বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ইস্যুতে কথা বলতে দেখি। কিন্তু যখন, একজন ৭৪ বছর বয়ষ্ক বৃদ্ধা নারী, যিনি এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁকে তার মূল মামলায় জামিন পাবার পরও চিকিৎসা সুবিধা না দিয়ে পরিত্যাক্ত জেলে আটকে রাখা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান লংঘন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথবারের মত কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসিয়ে শেখ হাসিনার সরকার তার উপর আরো নির্যাতন চালাচ্ছে, তখনও কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করে অদ্ভূত নীরবতা পালন করবে?

Thursday 8 March 2018

Human Rights and Democracy at Gunpoint in Bangladesh

It was around 11:30 am on March 6, 2018. As part of the BNP's countrywide human chain programme, the party's Dhaka city unit formed a human chain in front of National Press Club, to protest the detention of Begum Khaleda Zia in a fabricated case. Within 15 minutes BNP's volunteer wing President Shafiul Bari Babu entered the press club to escape police arrest who were searching him like trained dogs.

A few minutes later, some plainclothesmen brandishing small fire-arms stormed into the sanctuary of freedom of expression of the country, rounded up Mr Babu, with arms in one hand and Mr Babu on the other, they dragged him away as if he is a war criminal of World War II. Whoever came on their way to ask about their identity were met with fire-shot threats.

This is an incident, took place in broad daylight, in a so-called 'civilised' country where a self-styled Prime Minister boasts of carrying out development activities to legitimise her ruthless attitude towards opposing forces in the country.

A criminal state
When a state indulges itself in criminal activities, other crimes become incomparable to that.

Mr Babu is fortunate that he has been shown arrest by the law enforcers. Because in Bangladesh, where the state sponsors the most number of organised crimes, the government agencies barely show interest to prosecute the opposition party men. Instead, these agencies usually kill them, then either dispose the body or throw it somewhere far from the locality.

Some statistics can prove the above-stated claims. These agencies have killed no less than 1600 people extra-judicially. At least 500 people were forcefully disappeared. United Nations, in its report, sharply criticised Bangladeshi government for a "high rate" of extrajudicial killings and enforced disappearances, as well as "excessive use of force by state actors".

The ruthlessness of Bangladeshi forces is well documented. In a Swedish radio interview, one of the officials of the Bangladeshi death squad RAB exposed their brutal practices. The statement was so lurid that the translator had to go for fresh air three times while translating the statement.

No one, with an independent voice, can argue the fact that Bangladeshi forces backed by the government are operating in a manner that can only be compared to the laws of the jungle.

Silencing the voice
After crushing the opposition groups, the independent media are facing government wrath. Mahmudur Rahman and Shafik Rehman, two veteran journalists, were sent to jail because they reported of Sheikh Hasina’s relatives and ministers having been involved in corruption. Mahfuz Anam, the editor of The Daily Star, is personally facing 84 legal cases for sedition or defamation, with potential damages of US$8 billion. And prominent writer Farhad Mazhar was picked up in front of his home by plainclothes men and was mentally tortured for almost 17 hours.

And yes, this is the scenario of the media in the 'civilised' Bangladesh.

Anyone, who dissents the government view either faces harassment, cases or just gets shot down by Awami League men. A recent example of getting shot down in broad daylight for covering an incident is Daily Samakal's journalist Abdul Hakim Shimul by Awami League leader Miru in Sirajganj district.

Once outspoken Bangladeshi editor Matiur Rahman of Prothom Alo, in a recent interview with CPJ was found saying, "I don't have the courage anymore."

In the CPJ interview, all the media houses of Bangladesh admitted receiving repeated intimidating "advisory" phone calls from police, army intelligence, or the government.

What next?
Article 09 of the Universal Declaration of Human Rights states, no one shall be subjected to arbitrary arrest, detention or exile.

Bangladesh, as a state, recognises the universal declaration of human rights and is bound to abide by all the articles of this universally accepted document.

In spite of its commitment to protect human rights, the Awami League led government is choosing every means to curb it. The international community has a liability to save Bangladeshi nationals from government repression, which is enshrined in the basic principles of humanity.

It is high time to liberate Bangladesh from the gang of oppressors led by Sheikh Hasina and her Awami League.

No way out?
Without any significant pressure from abroad, amid all the wrongdoings of Awami League, this party has gone ruthless. With a view to saving the situation, it is high time to make the Bangladesh government of Awami League answer the questions on why they would be given all the facilities, funds and supports from abroad?

Wednesday 21 February 2018

জঙ্গিমাতা কে? Who is the Mother of Terrorism? [Bilingual]

গত বছর ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া হরকাতুল জিহাদ ইসলামী নেতা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানের বাড়ি ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়। ছোট ভাই মুন্সি আনিসুল ইসলাম ছিল গোপালগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে গোপালগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীতে মুফতি হান্নানকে একটা প্লট দেয়া হয়। সরকারের সহায়তায় মুফতি হান্নান এখানে 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা' গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার ছায়াতলে গড়ে তোলে 'সোনার বাংলা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি'

সেই ফ্যাক্টরিতে মুফতি হান্নান সাবানের বদলে বোমা বানানো শুরু করে। সেই বোমার উপকরণ আসতো ভারত থেকে। সাপ্লাই করতো আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ। উল্লেখ্য এই শেখ আব্দুল্লাহ তখন ছিল গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উপস্থিতি আছে প্রমাণ করতে শেখ আব্দুল্লাহ মুফতি হান্নানকে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি করিয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৮৬জন মানুষ হত্যা করে।

সেই আমলে জেলায় জেলায় মুফতি হান্নানের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও শুধু একবারই মুফতি হান্নানের বোমা বিস্ফোরিত হয়নি। কবে জানেন? ২০০০ সালে শেখ হাসিনা যেবার কোটালিপাড়ায় সভা করতে যায়, তার ঠিক আগের দিন সেই বোমা ধরা পড়ে। বোমা ধরা পড়লেও মুফতি হান্নান ধরা পড়লো না। তাঁকে শেখ আব্দুল্লাহ বহাল তবিয়তেই রাখলো।

২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মুফতি হান্নানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় এবং ২০০৫ সালে বিএনপি সরকার মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তার করে।

আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল মঈন উদ্দীনের সরকারের সময় ২০০৭ সালে মুফতি হান্নান তাঁর পুরো কুকর্মে শেখ আব্দুল্লাহর সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সে সময় যৌথ বাহিনী এই শেখ আব্দুল্লাহর বাসায় অভিযানও চালায়।

২০০৬ সালে গ্রেফতারকৃত জেএমবি নেতা আউয়াল এবং সানি ও ২০০৭ সালে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তাদের পৃষ্ঠপোষক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ'র নাম প্রকাশ করেছিল। তারা বলেছিল, শেখ আব্দুল্লাহ'র দেয়া টাকা দিয়েই ভারত থেকে বিষ্ফোরক এনে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলা করা হয়েছিল।

২০১০ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আবারো মুফতি হান্নান কোর্টে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বীকার করে শেখ হাসিনার সভাস্থলে বোমা পুঁতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল শেখ আব্দুল্লাহ

কমপক্ষে তিনজন জঙ্গী আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে যে তাদের পরিচালিত জঙ্গী হামলার অর্থ যোগানদাতা এবং পৃষ্ঠপোষক ছিল শেখ আব্দুল্লাহ। সেই শেখ আব্দুল্লাহকেই ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা আবারও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে তাঁর প্রতিনিধির দায়িত্ব দেন

এইবার একটু সবাই চিন্তা করে বলেন তো দেখি, জঙ্গিমাতা কে?



Harkat-ul-Jihad al-Islami (HuJI) leader Mufti Hannan, who was hanged last year following a court verdict hailed from Gopalganj district of Bangladesh. His younger brother Munshi Anisul Islam was a leader of Chhatro League- the students' wing of Awami League.

After Awami League came to power, in 1996, the government gave Hannan a plot in Gopalganj's industrial city of BSCIC. To fulfil 'Bangabandhu's dream of Sonar Bangla', Hannan set up 'Sonar Bangla Chemical Factory' on that plot, with support from Sheikh Hasina.

In that factory, he began manufacturing bombs, instead of soap. Raw materials for the bombs, brought in from India, were supplied by Sheikh Muhammad Abdullah, who was then Awami League's Religious Affairs Secretary- a post which he still holds. Interestingly, during that period Abdullah was Sheikh Hasina's representative in the Gopalganj-3 parliamentary seat.

Following Sheikh Abdullah’s directive, Mufti Hannan killed at least 86 people in terror bomb attacks between 1996 and 2001, to push the government's agenda and show the West, including the US, that Bangladesh was ravaged by Islamist terrorism.

Although Mufti Hannan was successful in his bomb attacks in all cases across the districts, very interestingly, only in one case his bombs did not explode. It was in 2000; his bombs were intercepted in Kotalipara where the next day Sheikh Hasina was to hold a meeting. Although the bombs were intercepted, Mufti Hannan was not caught. He remained at large thanks to a strategy by Sheikh Abdullah.

In 2003, Mufti Hannan was tried in absentia for the terror bomb attacks when BNP was in power and handed out life term in jail. In 2005, BNP-led government managed to arrest him.

In 2007, Mufti Hannan confessed in the court that his terrorist activities had all been backed by Sheikh Abdullah. This confession came during the regime of army-backed Moin-Fakhruddin government. We should not forget that the interim government was the outcome of the movement by Awami League- as the party itself claimed. Following that confession, the joint forces raided Sheikh Abdullah’s residence.

 JMB leaders Awwal and Sunny, who were arrested in 2006, said in a confessional statement in the court in 2007 that Sheikh Abdullah sponsored their terrorist activities. Abdullah provided fund to buy Indian raw materials for bombs- which were used on August 17, 2005, across the country, the two JMB militants admitted.

In 2010, when Sheikh Hasina-led government was in power, again Mufti Hannan voluntarily admitted in the court that following a directive from Sheikh Abdullah he had planned to plant bombs at Sheikh Hasina’s place of meeting in Kotalipara.

At least three militant leaders admitted that their terrorist activities were supported by Sheikh Abdullah. Yet, in 2014, Sheikh Hasina made Abdullah her representative in the Gopalganj-3 parliamentary seat again.

Now, I have a question: Could you tell me who in Bangladesh is our “Jangee-mata” or Mother of Terrorism?

Wednesday 7 February 2018

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সরকার পক্ষের নথি জালিয়াতির কিছু প্রমান

মামলার ১৯ নং সাক্ষী মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার আদালতে প্রদত্ত তার সাক্ষ্যে বলেছেন, তিনি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারী মাসের ৩১ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রথমে বেসরকারী এবং তারপর সরকারী কলেজ হয়ে ১৯৯৪ সালে প্রশাসন ক্যাডারে চাকুরি নিয়েছিলেন।

এর একটু পরেই তিনি আবার তিনি বলেছেন, ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখের একটি চেক তিনি প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করেছেন!
যে লোক ১৯৯৩ সালের ৩১শে জানুয়ারী চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়েছে, সে কিভাবে ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে সেখানকার রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি দেয়? এই লোক নিজেই লিখেছেন, তিনি চাকুরি ছেড়ে চলে আসার পর উনার পরবর্তী হিসাব রক্ষক বারেক ভূইয়া এই হিসাব দেখতেন। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবরে যদি এন্ট্রি দেবার প্রয়োজনই হতো, তাহলে তো সেটি তখনকার কর্মরত হিসাব রক্ষক ২১ নং সাক্ষী বারেক ভূইয়াকে দিয়েই করানোর কথা ছিল।আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, মোস্তফা কামাল প্রথমে বলেছেন, কার নির্দেশে উনি ফাইলে এইসব এন্ট্রি দিয়েছেন সেটা তার মনে নেই। এবং উনার পরে বারেক ভূইয়া এই ফাইল দেখতেন।

কিন্তু ২১ নং সাক্ষী বারেক ভূইয়া আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার চাকুরী ছেড়ে যাবার সময় এই ধরণের কোন ফাইল তাকে দিয়ে যাননি এমনকি এই ধরণের কোন ফাইল বা এতিম তহবিলের কোন ফাইল তিনি কখনো দেখেননি।
মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা ১৯ নং সাক্ষী মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার আদালতে দাবী করেছেন, চাকুরি ছাড়ার পরের তারিখে রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি দেবার জন্য ১৪ নং সাক্ষী সৈয়দ জগলুল পাশা তাকে তার সরকারী কলেজের কর্মস্থল থেকে ডেকে এনেছিলেন।

সরকারী কলেজে কর্মরত একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে কিভাবে কোন সরকারি চিঠি না দিয়ে ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ন দফতরের ততোধিক গুরুত্বপূর্ন ফাইলে তার চাকরি ছাড়ার পরবর্তী তারিখে এন্ট্রি দেয়ানো কিভাবে সম্ভব? এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তো জগলুল পাশা এবং মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধেই সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় নথিতে অবৈধভাবে এন্ট্রি দেয়ার অভিযোগ গঠন করা উচিত, তাই নয় কী?

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ১৪ নং সাক্ষী সৈয়দ জগলুল পাশাই হচ্ছেন ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে একমাত্র সাক্ষী, যিনি দাবী করেছেন, তিনি এতিম তহবিল সংক্রান্ত ফাইলে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর দেখেছেন। তবে সেই স্বাক্ষরযুক্ত কোন ফাইলের নোটশিট বা অফিস আদেশের কোন কপি কিংবা ফটোকপি তিনি আদলতে দেখাতে পারেন নাই।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, ১৪ নং সাক্ষী সৈয়দ জগলুল পাশা এবং ১৯ নং সাক্ষী মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদারকে দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ষড়যন্ত্র করে কিছু মিথ্যা কাগজপত্র তৈরী করেছেন যেগুলো আবার মারাত্মকভাবে ভুল।

দেখা যাচ্ছে, মোস্তফা কামালের তৈরী ডক্যুমেন্টে যে চেক নম্বর ও টাকার পরিমান দিয়ে জানুয়ারী মাসে এন্ট্রি দিয়েছেন, সেই একই চেক নম্বর এবং টাকার পরিমান দিয়ে তিনি চাকুরী ছাড়ার পরের তারিখ নভেম্বর মাসেও এন্ট্রি দিয়েছেন।

জানুয়ারী মাসের এন্ট্রি

নভেম্বর মাসের এন্ট্রি

এভাবেই অপরাধীরা অপরাধ করার পর তাদের অপরাধের চিহ্ন রেখে যায়।

কুয়েতের আমীর টাকা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য, সেটি এসেছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে। ঢাকাস্থ কুয়েতের দূতাবাস থেকে দেয়া চিঠিতে সেই কথা স্পষ্ট লেখা আছে।

কিন্তু সরকার পক্ষ আদালতে ব্যাংকে জমা দেয়া চেকের মূল কপি না দেখিয়ে একটি ঘষামাজা করা চেকের ফটোকপি উপস্থাপন করে।
তারা নিজেরাই আবার স্বীকার করেছে যে, চেকের এই ফটোকপিটি সৌদি আরবে অবস্থিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ নিজেদের বলে সনাক্ত করতে পারে নাই এবং এই চেকের মাধ্যমে কে টাকা প্রেরণ করেছে সেটা তারা জানে না। এটা জানার কথাও নয়। কারণ জাল চেকের ঐ রেকর্ড তো তাদের কাছে থাকা সম্ভবই নয়।

আওয়ামী লীগের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা হচ্ছে- এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোন টাকা আত্মসাত হয়নি, সকল টাকাই 'জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট' একাউন্টে জমা আছে। বরং ২ কোটি, ৩৩ লক্ষ, ৩৩ হাজার ৩শ' ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। কাজেই সরকার পক্ষের আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কোর্টেই মিথ্যা প্রমানিত হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারে বারে একই প্রশ্ন করা হয়- এতিমখানাটি কোথায়?
এতিমখানাটি বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দাঁড়াইলে।



বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল এতিমদের তাড়িয়ে দিয়ে সেটিকে পরিত্যাক্ত করে রেখেছে।

Saturday 20 January 2018

Brutal Killing of Nuruzzaman Jony by 'Tony Montana' Krishnapada Roy


Nuruzzaman Jony (30), General Secretary of Jatiyatabadi Chhatra Dal Khilgaon unit, was abducted by DB police on January 19, 2015, from Nazimuddin Road Jail Gate in Dhaka. Later that night, a DB team led by Krishnapada Roy (DCDB, South), riddled him with bullets. At least 16 bullets hit Jony, with 10 targeting his chest.

When police shoot 16 times to kill someone- it’s not just a murder- everybody sees a lot of "pleasure" and "satisfaction" in the act. It’s "Tony Montana" in police uniform. And that sadist is Krishnapada Roy, the then Deputy Commissioner (south) of Detective Branch.

On January 19, 2015, Jony went to the jail gate to visit his younger brother Moniruzzaman Hira and went missing. Police had allegedly picked Hira up from his house on Friday, January 16th, not finding Jony.

Jony’s father Yakub Ali spoke with him for the last time at 1:15 pm on January 19- the day he disappeared. Jony's wife, Monia Parvin Monisha, found all of his husband’s four cell phones in switched off mode about an hour after his conversation with his father. Then, they looked for him at every possible place. His father contacted the Khilgaon police and the Detective Branch, but they all said they knew nothing of his whereabouts.

"The detectives who denied arresting my son on Monday night killed him just hours later," Jony's father Yakub Ali said. Jony had never been involved in any violent activity and was known a man of affable character. Married a year back, he was a student at Habibullah Bahar College. His wife Monia Parvin Monisha was seven months pregnant when Jony was killed by police.

Mother of Jony sheds tears over her son’s dead body in Dhaka Medical College Hospital morgue
“What has my son done? Why has he been murdered? There is no need to keep us alive. Please kill us as well,” his mother Nilufar Parveen told reporters at the Dhaka Medical College morgue when she saw her son’s bullet-riddled body.

The law enforcers of this illegal government of Bangladesh are holding murderous encounters to finish off opposition leaders and activists. The government has given these agencies the licence to kill only to maim or destabilize the opposition movement in the country.